গবেষণা বলছে, চাকরিতে অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলে তা মানসিক চাপেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে ‘আর্টিয়াল ফাইব্রিলেশন’ হতে পারে। যা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ,স্ট্রোকের ঝুঁকি, ডিমেনশিয়া , হৃদরোগ এবং শরীরের অন্যান্য জটিলতা তৈরি করে।
গবেষকরা বলছেন, কাজের ক্ষেত্রে বেশি মানসিক চাপ থাকলে স্ট্রোক কিংবা অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি শতকরা ৪৮ ভাগ বাড়িয়ে দেয়।
গবেষক দলের একজন সুইডেনের জোনকপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এলিউনর ফ্রান্সন বলেন, এর আগে দেখা গেছে, কাজের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ থাকলে তা করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণায় দেখা গেছে, কাজে মানসিক চাপ স্ট্রোক, ডিমেনশিয়ার মতোও জটিলতা তৈরি করে।
গবেষকরা বলছেন, কাজের ক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারণে যাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। সেই সঙ্গে নিজের শারীরিক সমস্যার কথা অফিসের কর্মকর্তাদের জানিয়ে কাজের পরিবেশ উন্নত করার আবেদন করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি গবেষণাপত্রটি ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক দল ২০০৬,২০০৮,২০১০ সালের ১৩ হাজার ২০০ অংশগ্রহণকারীর ওপর জরিপ চালিয়ে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেন। গবেষকরা জানান, চাকরি শুরুর আগে অংশগ্রহণকারীদের কারও আগে থেকে হৃদরোগ , হার্টফেল, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া -এসব সমস্যা ছিল না।
তবে চাকরি শুরুর পাঁচ থেকে ৭ বছরের মধ্যে তাদের মধ্যে ‘আর্টিয়াল ফাইব্রিলেশন’ জাতীয় সমস্যা শুরু হয় । গবেষকরা এজন্য কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপটাকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গবেষকরা বলছেন,আর্টিয়াল ফাইব্রিলেশন’ জটিল কোনো সমস্যার উপসর্গ। এটা থেকেই পরে বড় ধরনের জটিলতা হতে পারে। তাই আগে থেকেই এটা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।
‘আর্টিয়াল ফাইব্রিলেশন’ হলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়া, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, সবসময় মাথায় চাপ ধরা ব্যথা, চক্কর দেয়া, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
সূত্র : ডিকেন ক্রনিক্যাল