ত্রিদেশীয় সিরিজে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা উইন্ডিজকে আবারো হারলো টাইগাররা। পঞ্চম ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ৫ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। মালাহাইডে উইন্ডিজের দেয়া ২৪৮ রানের টার্গেট টাইগাররা টপকে যায় ১৬ বল হাতে রেখে। শুক্রবার ফাইনালে নামবে এই দুই দলই।
ট্রাইনেশান সিরিজে এক উইন্ডিজের দুই রুপ। হোস্ট আয়ারল্যান্ডকে পেলে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন তো টাইগার স্কোয়াডের সামনে খাবি খেয়েছে ঐ ক্যারিবীয় ব্যাটাররাই।
আগের ম্যাচে ৮৯ রানে ৩য় উইকেট পড়েছিল ক্যারিবীয়দের। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঐ রান স্কোর বোর্ডে তুলতেই নেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান। আইরিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাকানো আমব্রিসকে মাশরাফী ২৩ রানে থামিয়ে এনেছেন ব্রেক থ্রু।
আগের ওভারে ক্যাচ মিস করা মিরাজ পরের ওভারে ব্রাভোকে তুলে নিয়ে দায় মেটালেন। ওদের দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরুনোর আগেই রস্টন চেজ আর কার্টারকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখিয়ে উইন্ডিজদের চাপে ফেলেছেন কাটার মাস্টার ফিজ।
অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান শেই হোপ আর হোল্ডার দায়িত্বটা আর কাউকেই দিতে চাননি। পঞ্চম উইকেটে ১০০ রানের পার্টনারশিপ দুজনের। আরেকটা সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা হোপকে ৮৭ রানে উইকেটের পেছনে মুশির ক্যাচ বানান মাশরাফি। পার্টনারকে হারিয়ে ঠিক তার পথেই হাটলেন ৬২ রানে থাকা হোল্ডার।
পরের ৪ ওভারে বাকি তিন ব্যাটসম্যান মিলে করলেন ৪০ রান। ৪৩ রান খরচায় মুস্তাফিজের থলেতে উইকেট ৪টা। একটু খরচে ক্যাপ্টেন নিয়েছেন ৩টা উইকেট। একটি করে উইকেট নিলেও সাকিব, মিরাজের হাড় কিপ্টে বোলিং আড়াইশ ছুতে দেয়নি উইন্ডিজকে।
ছোট টার্গেট তাড়ায় রয়ে শয়ে শুরু দুই টাইগার ওপেনার তামিম-সৌম্যর। কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারেননি তামিম। নার্সের বলে বোল্ড ২১ রানে। দারুণ ফর্মে থাকা সৌম্য এ ম্যাচেও তুলে নিলেন ফিফটি।
নার্সের দ্বিতীয় শিকার ২৯ রান করা সাকিব। মাঝে এক বলের বিরতী দিয়েই ৫৪ রানে সৌম্যকে থামালেন নার্সই। এ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ফিফটি মিস করলেন মিঠুন। ৪৩ রানে বোল্ড হোল্ডারের বলে।
মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে রানের চাকা চালিয়েছেন মুশি। ফিফটি তুলে ৬৩তে ফিরেছেন সাজঘরে। আর রিয়াদ হার না মানা ৩০ রানে।