জাতীয় দলে আসা যাওয়াটাকে এখন উপভোগ করেন ইমরুল কায়েস। তবে দলের প্রয়োজনে যেকোন সময় খেলতে নিজেকে প্রস্তুত রাখেন তিনি। তাই বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও হতাশ নন এই ওপেনার। দল থেকে বাদ পড়ার শিক্ষা কাজে লাগে মাঠের পারফরম্যান্সে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বিরতিতে এলিট ক্যাম্পের মতো ক্যাম্প আয়োজন করতে পারলে আখেরে ভালো ফল পাবে দেশের ক্রিকেট, মনে করেন ইমরুল।
এশিয়া কাপে দলে না থাকলেও টুর্নামেন্টের মাঝপথে বিসিবি সভাপতির পছন্দে দুবাইয়ের বিমান ধরে ছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। সাতে নেমে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৭২ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস।
এর পর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে তিনি করেন দুই সেঞ্চুরি আর এক হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু পরের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনফর্ম ইমরুল ব্যাটে রান খরা। বাদ পড়েন নিউজিল্যান্ড সফরে। নাম উঠেনি বিশ্বকাপ দলেও। জাতীয় দলে আসা যাওয়াটাই যেনো এখন ইমরুলের নিয়তি।
বাংলাদেশ দলের ওপেনার ইমরুল কায়েস বলেন, দলে আসা যাওয়ার ভিতর থাকলে অনেক কিছুই শেখা যায়। আমি যখন দলের বাইরে থাকি অনেক কিছুই শিখি। যখন দলে ফিরি তখন ওই জিনিসগুলো অ্যাপ্লাই করি। আমার কাছে এখন আর এটা তেমন খারাপ লাগে না, বরং ভালোই লাগে।
জাতীয় দলের জায়গা নিয়ে আর মন খারাপ করেন না ইমরুল। থাকেন সুযোগের অপেক্ষায়।
ডিপিএলের পর লম্বা বিরতি। বেকার ঘরে বসে থাকা। বিসিবি এলিট ক্যাম্পের কারণে গভীরভাবে অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন তার মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। এমন উদ্যোগে খুশি ইমরুল।
তার মতে, ইন্টারন্যাশনাল আর ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বিরতিতে এমন ক্যাম্প হলে ফিটনেস আর পারফরম্যান্স ঠিক রাখা সহজ হয় ক্রিকেটারদের।