বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাবার রুট খুব সহজ তবে ভিষণ কষ্টসাধ্য। কোনরকমে তারা লিবিয়া কিংবা মরক্কো পৌঁছতে পারলেই হলো। এরপর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ। আবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ায় আশ্রিত ও কর্মরত বাংলাদেশিরাও উন্নত জীবনের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি- বায়রা মহাসচিব শামীম চৌধুরী নোমান জানান, ‘যথেষ্ঠ মাত্রায় তদারকি বাড়াতে হবে এবং এটি শুধু আমাদের দেশেই নয়, এই পুরো চ্যানেলটিকেই বের করে আনতে হবে। এছাড়া যেই সব দেশে এগুলো হয় আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলে সেই সব দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে, যেখানে অভিবাসী ও আশ্রিতদের অবৈধ অভিবাসনে নিরুৎসাহিত করা হয় এবং দেশে ফিরে গিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনরায় বিদেশে কর্মসংস্থানে যেতে উৎসাহিত করা হয়। অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি দেওয়াদের সংখ্যা কম।